অনলাইন ডেস্ক
২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন সংস্করণ

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’

যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবর্তে এ সেতুর নাম ‘যমুনা রেলসেতু’ করা হয়েছে।আজ রবিবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, ‘যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না। এটি এখন যমুনা রেলসেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেলসেতু উদ্বোধন করা হতে পারে।’

তিনি আরও জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াশিমা।

নতুন এই রেলসেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে। সিবিআইএস চালু না হওয়ায় মূল সেতুতে নয়, রেলের গতি কমবে সেতুর কানেক্টিং দুই স্টেশনে। নন-ইন্টারলিংক সিস্টেম চালু থাকায় স্টেশনের লুপ লাইনে যখন ট্রেন প্রবেশ করবে, তখন তার গতি কমিয়ে আনতে হবে ১৬ কিলোমিটারে। তবে লুপ লাইন পেরিয়ে মূল সেতুতে রেল ফুল স্পিডে চলাচল করতে পারবে। রেললাইন ও ব্রিজের সক্ষমতা রয়েছে।

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালুর পরে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেই বাস্তবতা নেই রেলওয়েতে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

একনেকে ৪২৪৬ কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

ডিবি হারুন ও তার ভাইয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে লস অ্যাঞ্জেলেস; জরুরি অবস্থা জারি

চালের দাম বাড়ার যুক্তি দেখছেন না বাণিজ্য উপদেষ্টা

এ পর্যন্ত ১১ কোটি ৪৪ হাজার পাঠ্যবই ছাপা হয়েছে : প্রেস উইং

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত

কামরুল, পলক, মামুনরা নতুন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার

পদত্যাগের ঘোষণা কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে

ভারতে ৫০ বিচারকের প্রশিক্ষণের অনুমতি বাতিল

১০

সংস্কারের জন্য সংবিধান বদলানোর প্রয়োজন হতে পারে: সিইসি

১১

মুগারচর ফুটবল ক্লাবের উদ্যোগে নাইট ডিগবার ফুটবল ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

১২

সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে

১৩

যুবদল নেতা স্বপনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

১৪

সাবেক মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী লতিফ বিশ্বাস গ্রেফতার

১৫

আপিল খারিজ, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৪ মামলা বাতিলই থাকছে

১৬

বিসিবি সভাপতির দুর্ব্যবহার, বোর্ড ছাড়ার ইঙ্গিত ফাহিমের

১৭

তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন, তবে সময় লাগবে: সালাহউদ্দিন

১৮

পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হলেন ১৫ কর্মকর্তা

১৯

ফরিদগঞ্জে এম.এ হান্নান শিক্ষা ও মানব কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ

২০