চাঁদপুরঃ বর্তমান ভরা মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম। মজুতদারির কারণে নিত্যপণ্যটির দাম বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় দীপিকার মোড়ে টিসিবির পণ্য বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, “এখন আমনের ভরা মৌসুম। প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী বাজারে চালের ঘাটতি নেই। সরকারের চালের মজুত, স্থানীয় উৎপাদন ও সংগ্রহে কোনো ঘাটতি নেই।”
“বাজারে চালের যে দাম বেড়েছে, তা অযৌক্তিক” মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “এর পেছনে সাময়িক মজুতদারি হয়েছে।”
“ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরশাইল ও মিনিকেট—এ দুটি চালের দাম বেশ বেড়েছে” স্বীকার করে তিনি বলেন, “পাইকারি পর্যায়ে যে দর বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে খুচরা পর্যায়ে।”
এই দাম বাড়ার কারণ খোঁজার চেষ্টা চলছে বলে জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানান, দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “সরকার আমদানি উদারীকরণের নীতিতে যাচ্ছে। গত দুই দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, খাদ্য উপদেষ্টা, টিসিবি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাজারে সরবরাহব্যবস্থার উন্নতিতে আপাতত আমদানিকেন্দ্রিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এতে স্থানীয় বাজারে দাম কমে আসবে।”
আলুর ক্ষেত্রেও এমন ঘটনা দেখা গেছে বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বলেন, “দাম বাড়ার পর আমদানির উদ্যোগ নিলে আলুর দাম কমে আসে।”
এ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আগামী বছরের জন্য সরকারিভাবে আলু মজুত করা হবে বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা।
এসময় টিসিবি বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার পণ্য ক্রয় করে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “টিসিবির ক্রয় কার্যক্রমকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করা হবে। ক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও বেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ করানো হবে।”
তিনি বলেন, “পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা যদি বাঁচানো যায়, তবে আরও বেশি মানুষের কাছে এই উপকার পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
(প্রতিদিনের চাঁদপুর/০৮জানুয়ারি/আরএ)
মন্তব্য করুন